শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দের গাঁও গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে ২২৪ বছরের মিয়া বাড়ির জামে মসজিদটি আজ কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিবু নিবু বাতিতে।
গ্রামের শত বছরের বয়সি মসজিদের সভাপতি আঃ সত্তার মাদবর ও ৬০ বছর বয়সি আবদুল মালেক ঘরামি বলেন, সৈয়দেরগাঁও গ্রামটি জমিদার বাড়ীর নাম অনুসারে হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই গ্রামটি পরিচিত। মরহুম বদরুল মিয়ার পুত্র সৈয়দ শামসুল আলম মিয়া ১৮শত সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই পাঞ্জেগানা মসজিদ ছিল। প্রায় ১০ বছর ধরে মসজিদটি জামে মসজিদে পরিণত হয়েছে।
চারচালা টিনের ঘরটি কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে। মসজিদটি দেখা শুনা করেন মিয়া বংশের জানু মিয়ার মেয়ে নাসরিন বেগম। তিনি বরিশালে থাকেন বছরে দুই বার এসে আঁধা ঘন্টা থেকে ১ঘন্টা থেকে খোঁজ খবর নিয়ে চলে যান। মসজিদের ইমাম মাওলানা ফারুক হোসাইন ১ হাজার টাকার বেতনে আছেন। শত বছর বয়সি আঃ সাত্তার মাদবর ৩০ বছর ধরে সভাপতি, মোয়াজ্জিন ও খাদেমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিনা পরিশ্রমে। তিনি তার বেতন নির্ধারনের কথাও বলেন।
মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয় মুসল্লিদের টাকায়। প্রতি শুক্রবার মুসল্লি হয় ২০ থেকে ২৫জন তাদের থেকে সাহায্য আসে ৬০-৭০ টাকা। যা মসজিদের শুধু বিদ্যুত বিলের খরচ উঠে। গ্রামটি নয়া ভাঙ্গনী নীদে ভেঙ্গে নেয়ায় বসতি সংখ্যা কমে গেছে।
মসজিদ থেকে নয়া ভাঙ্গনী নদির পাড় প্রায় ৫০ গজ দুরে। নদীটি পীর সৈয়দ বদরুলের কবরের কাছে এসে নদীর ভাঙ্গা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি একজন নাম করা পীর ছিলেন বলেন এলাকা সূত্রে যানা যায়। মসজিদের কাছেই পীর সাহেবের কবর। এলাকার ও দুর এলাকার লোকজন কোন মানত করে ঐ কবরের মাটি, যে কোন পানি এনে ওখানে বসে শরীর মাখলে উপকার পাওয়া যায় বলে জানা যায়। সেই মানতের টাকা মসজিদের দান বাক্সে রেখে যান। বছর শেষে সেখান থেকে ১০/১২ হাজার টাকা আসে। সে টাকা মসজিদ দেখাশুনা করেন নাসরিন বেগমের কাছে।
আর্থিক সংকটে হিমশিম খাচ্ছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনগণ দুইশত বছরের মসজিদটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে।